শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে শিল্পী বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা চলে গেলেন লালমনিরহাটের লোকসংগীত শিল্পী গোপাল দোয়ারী! ভারত-বাংলাদেশের চিকেন নেক ফেনিকে টার্গেটে ব্যর্থ হয়ে পাহাড়িদের মদত দিচ্ছে! লালমনিরহাটের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন-এঁর ইন্তেকাল হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ! আদিতমারীতে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে র‍্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ভুল কীটনাশক প্রয়োগে পুড়ে গেছে কৃষকের ধানক্ষেত! অধ্যক্ষ আবশ্যক এস বি এফ নার্সিং ইনিসটিটিউট, লালমনিরহাট

দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ

লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গের খবর পাওয়া গেছে।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উক্ত নদীর উপভাগিকায় ধান ও সবজি দীর্ঘদিন বন্যার পানির তলদেশে নিমজ্জিত থাকার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি তলিয়ে গেছে পুকুর। এতে করে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

 

জানা গেছে, খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বানভাসি মানুষগুলো বিভিন্ন পানিবাহি রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য এখনও কোন ভ্রামমান্য চিকিৎসক টিম তাদের পাশের ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ নিয়ে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও জানা গেছে, বানভাসি মানুষের পাশাপাশি তাদের ঘরে থাকা গরু-ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগির উচু স্থানে কোন রকমে রাখলেও খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদের পাশে এখনও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোন প্রতিনিধির আশারও খবরও পাওয়া যায়নি।

 

আরও দেখা গেছে, বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে গেছে। বানভাসিদের যাতায়াতে দেখা গেছে চরম ভোগান্তি। এ থেকে পরিত্রাণের যেন কোন পথ নেই।

 

এদিকে লালমনিরহাট বন্যার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ০৬মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৯সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮দশমিক ৮২মিটার। যা (বিপদসীমা ২৮দশমিক ৭৫মিটার) যা বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

সোমবার (২৮ আগস্ট) ভোর থেকে কাউনিয়া বাদে অন্যান্য পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও বিকাল ৩টার পর থেকেই কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

তিস্তার তীরবর্তী দহগ্রাম, সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, ভোটমারী, কাকিনা, মহিষখোচা, পলাশী, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

 

এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ২৯.৫৫মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ১৫৪সেন্টিমিটার নিচে।

 

অপরদিকে পাটগ্রাম পয়েন্টে পানি সমতল ৫৮.২১মিটার (বিপদসীমা ৬০.৩৫মিটার) যা বিপদসীমার ২১৪সেন্টিমিটার নিচে।

 

কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে ধরলা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়ন বন্যায় কবলিত।

 

লালমনিরহাটে গতকাল সকাল ৮.০০টা হতে সকাল ৮.০০টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ০১ মিলিমিটার।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone